Labels: , , ,

মহানবী ও-পবিত্র ধর্মের কটূক্তিকারীদের ইসলাম কি বলে?




মহানবী ও-পবিত্র ধর্মের কটূক্তিকারীদের তালিকা করার নির্দেশ এবং ইসলাম কি বলে?

ব্লগ, ফেসবুক, ইন্টারনেট, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং পবিত্র ধর্মকে কটূক্তি করেছে, তাদের তালিকা প্রস্তুত ও তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল এ তথ্য জানান।তিনি আরও জানান, অচিরেই কমিটি গঠন করে এ তদন্ত কাজ শুরু হবে।   সুত্র: টিভির ব্রেকিং নিউজ এবং ওয়েবে Click This Link

খুবই ভাল উদ্যোগ তবে এর ফলে যাতে নাস্তিক এবং ইসলামের সমালোচনাকারীদের প্রতি যেন আবিচার হয়রানী বা যুলুম করা না হয়, এটা হোক তাদের জন্য যারা ইসলামের সমালোচনা নয় বরং ইসলাম নিয়ে বাজে কথা লিখে সমাজে অশান্তি ছরায়, কারন ইসলামের শুরু থেকেই ইসলেমের বিরোধীরা ছিল, এখনো আছে আর ভবিশ্যতেও থাকবে কনফার্ম, আমার দেখা এই ব্লগে অনেক নাস্তিক দেখেছি যারা ইসলামের সমালোচনা নয় বরং ইসলামের সমালোচনার নামে ঘৃনা ছরিয়ে হিট ব্লগার হতে চেয়েছে আবার অন্যদিকে সত্যিকারের চিন্তাশীল সমালোচকও দেখেছি যিনি ঘৃনা নয় বরং অন্যভাবে ইসলামকে বোঝার চেস্টা করেছেন।

ইসলামের বিদ্বেষীরা মহানবী (সাঃ) এর জীবদ্দশায়ই ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের দ্বারা তাঁকে এবং তাঁর অনুসারীদেরকে কষ্ট দিতে কোন ত্রুটি করেনি।এখনো সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। মহানবী (সাঃ) তাঁর ধৈর্য, মহত্ত্ব ও উদারতার দ্বারা শত্রুর এসব নিন্দা ও ঠাট্টা-বিদ্রুপ উপেক্ষা করে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন।আমাদের উচিত মহানবী (সাঃ)এর আদর্শকে সমুন্নত রেখে ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ ধরণের উস্কানির প্রতিবাদ করা।

একটা বিষয় সবাইকে বুঝতে হবে যে পৃথীবিতে ভিন্নমতের মানুষ থাকবেই, সবাই মুসলিম হবে ঈমান আনবেন এমন কথা নাই , আমাদের যেমন দায়িত্ব ইসলামের বানী প্রচার করা শান্তি বজায় রাখা তেমনি তাদেরও দায়িত্ব আমাদের মহানবীর বা ইসলামের প্রতি খারাপ শব্দ বা ভাষার প্রয়োগ না করা, যাতে সমাজে বিশৃখলা হয়, ইসলামের সমালোচনা করুন আপত্তি নেই তার মানে এই নয় যে ইসলামকে, আল্লাহকে, মহানবী (সঃ) কে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করবেন।

মুক্তচিন্তা মুক্তচিন্তা করে যারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেন তাদের কে বলি নাস্তিক মানেই কি ইসলাম নিয়া গালাগালি ? মুক্তচিন্তার লেখক কখনো অন্যকে গালি দিবেন না তিনি যুক্তি ভিত্তিক কথা বলবেন হিট ব্লগার সেলিব্রেটি হওয়ার জন্য সাধারন মানুষদের বিশ্বাস নিয়ে যা তা বলা কোন যুক্তি ছারা মুক্তচিন্তার আওতায় পড়ে না।

মুক্তচিন্তা আর বাক স্বাধিনতা মানে কি মতের "কিছু অমিল" হলে : একজনকে " কুত্তার বচ্চা" বলে গালি দেওয়া । মত প্রকাশের স্বাধিনতা সম্পর্কে লেখক Evelyn Beatrice Hall, (1868 – after 1939), যিনি ছদ্বনাম S.G. Tallentyre হিসেবে লিখেন ,তিনি বলেন "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it." মানে "আপনি যা বলছেন আমি তার সাথে একমত নই তবে আমি আমার মৃত্যু পর্যন্ত আপনার কথা বা বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাব।"

এখন আপনার মুক্ত চিন্তার জন্য আমি লড়াই করতে প্রস্তূত সেই মুক্তচিন্তার দোহাই দিয়ে আপনি র্নিবোধের মত আমার ধর্ম কে আমার নবী কে আমার বিস্বাস কে আমার স্রস্টাকে খুব বাজে ভাবে খারাপ ভাষায় উপস্থাপন করবেন আপনি সেটা কি ঠিক ? মুক্ত চিন্তা মানে মিথ্য বলা নয় মুক্ত চিন্তা মানে অন্যকে ইনসাল্ট/অপমান করা নয়। আমাকে আমার বিশ্বাস কে সম্মান করতে না পরলে আপনার সে বিষয়ে কথা বলার অধিকার নেই বলে মনে করি।

আমাদের সবার উচিৎ সকল ধর্মকে, সকাল মানুষ কে একসাথে নিয়ে দেশের কাজ করা ধর্ম যার যার দেশটা সবার। আমরা যারা পরবাসী আমাদের সবাই বাংলাদেশি বলে চিনে বলে না সে বাংলাদেশি মুসলিম বা বাংলাদেশী হিন্দু, খ্রিস্টান ইত্যাদি।

আস্তিক বা নাস্তিক হওয়ার আগে সবার উচিৎ ভাল মানুষ হওয়া সেই ভাল মানুষ হতে ধর্ম আপনাকে সাহাজ্য করে আর যদি ধর্ম না মানেন তবুওতো কথা একটাই সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।

ব্লগে যে নাস্তিক আস্তিক মিলে সুস্থ আলোচনা হতে পারে তা কি বিশ্বাস করেন? না করলে এই পোস্ট গুলো ও কমেন্ট গুলো দেখুন

ইসলাম : যে- কোন প্রশ্ন ও সংক্ষিপ্ত সময়ে পরিপূর্ণ উত্তর
Click This Link

নারী ও ইসলাম- আসুন দেখি সত্যের চোখে
Click This Link

রাসূল (সঃ)এর অবমাননা ও আমাদের করনীয় -
Click This Link

এমন আরো অনেক পোস্ট রয়েছে কিভাবে সুন্দর আলোচনার মাধ্যমে একটা বিষয়কে বিভিন্ন ভাবে দেখা যায় আর সত্যিটা বোঝা যায় সেটাইতো ব্লগিংয়ের মুল উদ্দেশ্য তাই না।

এই ভিডিওটা পোস্টের সাথে সংগতিপুর্ন তাই এড করছি
#NoHaters | Why you will love Islam | 2013 | HD


পরিশেষে মহান আল্লাহর বানী দিয়ে শেষ করি: ক) কোরআনে সুরা আল মায়েদাহ সুরা নং৫ আয়াত নং ৩২ এ দেখুন
এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।

খ) সূরা আল ইমরান সুরা নং ৩) আয়াত ১৮৬ "অবশ্য ধন-সম্পদে এবং জনসম্পদে তোমাদের পরীক্ষা হবে এবং অবশ্য তোমরা শুনবে পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের কাছে এবং মুশরেকদের কাছে বহু অশোভন উক্তি। আর যদি তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর এবং পরহেযগারী অবলম্বন কর, তবে তা হবে একান্ত সৎসাহসের ব্যাপার। "

গ) সূরা আন নিসা সুরা নং ৪ আয়াত নং ১৪০ " আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।" 

 লিখেছেন-  ফয়সাল হাসান

No comments:

Post a Comment